ডেইলি স্টার সম্পাদককে গ্রেপ্তারের দাবি জয়ের
নিজস্ব প্রতিবেদক
সামরিক অভ্যুত্থানে উসকানি দিতে সাজানো ও মিথ্যা প্রচারণা চালানোর জন্য রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের গ্রেপ্তার ও বিচার চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়।
বৃহস্পতিবার রাত ২টা ১৯ মিনিটে নিজের ফেইসবুক পেইজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এ দাবি জানান তিনি।
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমে ‘ডিজিএফআইয়ের দেওয়া ভিত্তিহীন খবর ছাপার কথা স্বীকার মাহফুজ আনামের’ শীর্ষক সংবাদ প্রকাশের পর এর সূত্র ধরে এ দাবি জানান সজীব ওয়াজেদ জয়।
জয় লিখেছেন, মাহফুজ আনাম, দ্যা ডেইলি স্টার সম্পাদক, স্বীকার করেছেন যে তিনি আমার মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি অপবাদ আরোপ করতেই তার বিরুদ্ধে মিথ্যা দুর্নীতির গল্প ছাপিয়েছিলেন। তিনি সামরিক স্বৈরশাসনের সমর্থনে আমার মাকে রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে এই কাজ করেছিলেন। একটি প্রধান সংবাদপত্রের সম্পাদক সামরিক বিদ্রোহে উস্কানি দিতে যে মিথ্যা সাজানো প্রচারণা চালায় তা রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
তিনি অব্যাহতভাবে রাজনীতিকদের বিরুদ্ধে তাদের অনৈতিকতা এবং দুর্নীতিগ্রস্থ হবার কথা লিখেন। তার নিজের স্বীকারোক্তি মতে তিনি নিজেই পুরোপুরি অনৈতিক এবং একজন মিথ্যাবাদী। তার অবশ্যই একজন সাংবাদিক হিসেবে থাকার কোন অধিকার নাই, সম্পাদক তো অনেক দূরের বিষয়। তার কার্যক্রম দুর্নীতিকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে; যা দেশপ্রেমহীন এবং বাংলাদেশ বিরোধী।
আমার ব্যক্তিগত মত, তার মিথ্যা গল্পের উস্কানি আমার মাকে গ্রেফতার করিয়েছে এবং ১১ মাস তিনি জেলে কাটিয়েছেন। আমি বিচার চাই। আমি চাই মাহফুজ আনাম আটক হোক এবং তার রাষ্ট্রদ্রোহিতার বিচার হোক।
উল্লেখ্য, বুধবার এটিএন নিউজে মুন্নী সাহার সঞ্চালনায় নিউজ আওয়ার এক্সটা অনুষ্ঠানে ওয়ান ইলেভেনের সময়ে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই’র দেয়া নিউজ ছাপানো এবং প্রমাণ করতে না পারার কারণে ভুল স্বীকার করে ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম বলেছিলেন, ‘এটা আমার সাংবাদিকতা জীবনে, সম্পাদক হিসেবে ভুল, এটা একটা বিরাট ভুল। সেটা আমি স্বীকার করে নিচ্ছি।’
ঐ অনুষ্ঠানের শুরুতে ২৫ বছর পূর্তিতে ডেইলি স্টারের তৈরি একটি ভিডিওচিত্র দেখানো হয়। তারপর আলোচনা হয় সংবাদ, সাংবাদিকতা, ডেইলি স্টারের পাঠকপ্রিয়তা নিয়ে। সাংবাদিক গাজী নাসিরউদ্দিন আহমেদ আলোচনার টেবিলে তোলেন সেই সময়ে ডেইলি স্টারের একটি ভুল রিপোর্টের প্রসঙ্গ। এ সময় মাহফুজ আনাম ভুল স্বীকার করেন।
প্রতিক্ষণ/এডি/এফটি